মতিউর রহমান মল্লিক

মতিউর রহমান মল্লিক

বাংলাদেশের বিশিষ্ট কবি, গীতিকার এবং ইসলামী সাহিত্য সাংস্কৃতিক আন্দোলনের
প্রাণপুরুষ কবি মতিউর রহমান মল্লিক ১৯৫৬ সালের ১ মার্চ বাগেরহাট জেলার রায়পাড়া উপজেলার বড়ইগ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা মুন্সী কায়েম উদ্দিন মল্লিক, মাতা আছিয়া খাতুন। তিনি বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক ছিলেন। ইসলামী সাহিত্য সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অগ্রসেনানী কবি মতিউর রহমান মল্লিকের হাত ধরেই সাইমুম শিল্পী গোষ্ঠির যাত্রা শুরু।

‘রঙিন মেঘের পালকি', ‘আবর্তিত স্বর্ণলতা' ও ‘অনবরত বৃক্ষের গান' তার কবিতার বই। তার গানের বই হচ্ছে ‘ঝংকার', ‘যত গান গেয়েছি'। ‘নির্বাচিত প্রবন্ধ' নামে তার একটি প্রবন্ধ গ্রন্থ রয়েছে।

অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন কবি মতিউর রহমান মল্লিক। এর মধ্যে রয়েছে সবুজ মিতালী সংঘ সাহিত্য পুরস্কার, জাতীয় সাহিত্য সংসদ স্বর্ণ পদক, কলম সেনা সাহিত্য পদক, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সাহিত্য পুরস্কার (ফ্রান্স), বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ পুরস্কার, কিশোরকন্ঠ সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার ইত্যাদি।

ডীপ কোমায় ছিলেন কবি মল্লিক : ইসলামী সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রাণ পুরুষ কবি ও গীতিকার মতিউর রহমান মল্লিক মারাত্মক সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে সজ্ঞাহীন অবস্থায় ছিলেন দীর্ঘদিন। গত ১১ জুলাই ডায়ালাইসিস শেষে বাসায় ফেরার পরপরই তার কার্ডিয়াক এ্যারেস্ট হয়। প্রায় ২৫ মিনিট শ্বাস বন্ধ-মৃত প্রায় অবস্থায় হলে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দিয়ে কয়েক ঘণ্টা তাকে ইবনে সিনা হাসপাতালে রাখা হয়। পরে নেয়া হয় স্কয়ার হাসপাতালে। গত ২১ জুলাই স্কয়ার হাসপাতালে কবি মতিউর রহমান মল্লিকের জন্য ৫ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, কবি মতিউর রহমান মল্লিককে ব্যাংকক থেকে হার্টে ৫টি রিং সংযোজন করে দেশে নিয়ে আসার পর বাসায় রেখে সপ্তাহে ৩দিন তাকে ইবনে সিনায় রেখে ডায়ালাইসিস করানো হতো। এভাবে ১ বছর পর পুনরায় ব্যাংককে নিয়ে কিডনী সংযোজনের কথা ছিল। হঠাৎ করেই কাডির্য়াক এ্যারেস্টের ঘটনা ঘটনায় কবি মল্লিক ডীপ কোমায় চলে যান। অবশেষে ১১ আগস্ট ২০১০ দিবাগত রাত ১২:৩০টায় ঢাকার
স্কয়ার হাসপাতালে ইন্তিকাল করেন।

Prayer Times For 6 Million Cities Worldwide
Country: