লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর অর্থ

لا إله إلا الله
তথা "আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই"
এই সাক্ষ্য দানের অর্থ

لا إله إلا الله লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর অর্থ হলো: এক আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া প্রকৃত পক্ষে কোন সত্য মা‘বুদ-উপাস্য নেই।
এর দাবী হল, জেনে-বুঝে এই কালিমা মুখে উচ্চারণ করতে হবে এবং প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্যভাবে এর দাবী ও চাহিদা অনুযায়ী আমল করা।
আর এর অর্থ না জেনে এবং এর দাবী অনুযায়ী আমল না করে শুধু মুখে পাঠ করা সকল আলেমের ঐক্যমতে কোন কাজে আসেনা। বরং এটা কিয়ামতের দিন তার বিরূদ্ধে প্রমাণ হয়ে দাঁড়াবে।

এ কালেমার দু’টি রুকন রয়েছে। যথা: ১) অস্বীকৃতি জানানো ২)স্বীকৃতি জানানো।
অর্থাৎ-আল্লাহ ছাড়া সব কিছুর উপাসনা অস্বীকার করা, এবং সে উপাসনা একমাত্র অদ্বিতীয় আল্লাহর জন্য সাব্যস্থা করা, যার কোন অংশীদার নেই। তাগুতের অস্বীকার করাও এই কালেমার অন্তর্ভুক্ত।

তাগুত-হলো: আল্লাহকে ছেড়ে মানুষ, পাথর, বৃক্ষ ও প্রবৃত্তি ইত্যাদির পূজা-উপাসনা করা। আর তাকে (তাগুতকে) ঘৃণা করা ও তা হতে নিজেকে মুক্ত ঘোষণা করাও এ কালেমার অন্তর্ভূক্ত।

অতঃপর: যে ব্যক্তি এই কালেমা মুখে উচ্চারণ করেছে অথচ আল্লাহ ছাড়া যে সকল বস্তুর ইবাদাত করা হয় তা অস্বীকার করে নাই সে এই কালেমার দাবী পূরণ করে নাই।

এ প্রসংগে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

وإلهكم إله واحد لا إله إلا هو الرحمن الرحيم
অর্থ: "তোমাদের ইলাহ্-উপাস্য হলেন এক ও অদ্বিতীয়, আর সে মহান করুনাময় দয়ালু ব্যতীত সত্যিকার কোন মা‘বুদ-উপাস্য নেই।" [সূরা বাক্বারাহ:আয়াত১৬৩]তিনি আরও বলেনঃ

}لا إكراه في الدِّين قد تبين الرشد من الغي فمن يكفر بالطاغوت ويؤمن بالله فقد استمسك بالعروة الوثقى لا انفصام لها والله سميع عليم.

অর্থ: দ্বীন সম্পর্কে জোর-জবরদস্তি নাই, সত্য পথ ভ্রান্ত পথ হতে সুস্পষ্ট হয়েছে। যে তাগুতকে অস্বীকার করবে ও আল্লাহকে বিশ্বাস করবে সে এমন এক মযবূত হাতল ধরবে যাহা কখনও ভাঙ্গবে না। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী। [সূরা বাক্বারাহ: আয়াত ২৫৬]

আর (الإله)ইলাহ্ এর অর্থ: ইলাহ্ অর্থ সত্য মা‘বুদ-উপাস্য।

আর যে ব্যক্তি এই বিশ্বাস করে যে ইলাহ্-উপাস্য হলেন তিনি যিনি সৃষ্টিকর্তা, রিযিকদাতা, বা সব কিছুর উপর ক্ষমতাশীল, এর দ্বারাই ঈমান সৌন্দর্য লাভ করে, ইবাদাতের মাধ্যমে আল্লাহর একাত্বতা ঘোষণা করা ছাড়াই সে ব্যক্তির (لا إله إلا الله) লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ “আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই” মুখে উচ্চারণ করে ইসলামে প্রবেশ করা দুনিয়াতে কোন উপকারে আসবে না। আর আখিরাতে স্থায়ী শাস্তি হতে এই কালেমা তাকে মুক্তি দিবে না।
আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ

}قل من يرزقكم من السماء والأرض أمن يملك السمع والأبصار ومن يخرج الحي من الميت ويخرج الميت من الحي ومن يدبر الأمر فسيقولون الله فقل أفلا تتقون

"বলঃ কে তোমাদেরকে আকাশ ও পৃথিবী হতে জীবনোপকরণ সরবরাহ করে অথবা শ্রবণ ও দৃষ্টি শক্তি কার কর্তৃত্বাধীন ? কে জীবিতকে মৃত হতে নির্গত করে এবং কে মৃতকে জীবিত হতে নির্গত করে এবং কে সকল বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে? তখন তারা বলবেঃ আল্লাহ। বলঃ তবুও কি তোমরা সাবধান হবেনা?" [সূরা য়ূনুস আয়াত: ৩১]

তিনি আরও বলেন:

ولئن سألتهم من خلقهم ليقولن الله فأنىّ يؤ فكون
"যদি তুমি তাদেরকে জিজ্ঞাসা কর, কে তাদেরকে সৃষ্টি করেছে, তারা অবশ্যই বলবেঃ আল্লাহ। তবুও তারা কোথায় ফিরছে?।" [সূরা আল-যুখরুফ-আয়াত-৮৭]
কুরআনুল কারীমে এমন অসংখ্য আয়াত রয়েছে।

 
Prayer Times For 6 Million Cities Worldwide
Country: